Pages

Tuesday, 25 April 2017

Stochastic Oscillator

স্টোকাস্টিক অসিলেটর

জর্জ সি লেন এই ইন্ডিকেটরটি প্রবর্তন করেন। এই অসিলেটরটি একটি মোমেন্টাম ইন্ডিকেটর। জর্জ সি লেনের মতে, এই অসিলেটরটি প্রাইস বা ভলুম কোনটাই অনুসরন করেনা, প্রাইসের মোমেন্টাম অনুসরন করে। আর তাই প্রাইসের আগেই মোমেন্টাম পরিবর্তন হয়।  আর তাই খুব সহজে রিভার্সাল বুঝা যায়। ওভারবট, ওভারসোল্ড সহজে শনাক্ত করতে পারে।

ফরমুলা ও ক্যাল্কুলেশন
Formula and Calculation

%K = (Current Close - Lowest Low)/(Highest High - Lowest Low) * 100
%D = 3-day SMA of %K

Lowest Low = lowest low for the look-back period
Highest High = highest high for the look-back period
%K is multiplied by 100 to move the decimal point two places

সেটিং
ডিফল্ট সেটিং ১৪ পিরিয়ড। D% K% এর তিন দিনের সাধারন মুভিং এভারেজ K% এর পাশাপাশি থাকে ও ক্রস ওভার সেল বা বাই সিগন্যাল দেয়।

ওভারবট ও ওভারসোল্ড লেভেল
খুব সহজে ওভারবট ও ওভারসোল্ড লেভেল শনাক্ত করা যায়। 80  ওভারবট, 20 ওভারসোল্ড। নিচে অলিম্পিকের ওভারবট, ওভারসোল্ড ও বাই / সেল সিগ্ন্যাল দেখানো হলো।



ডাইভার্জেন্স





Williams %R

উইলিয়ামস %আর

এই মোমেন্টাম ইন্ডিকেটরটি Larry Williams প্রবর্তন করেন। অসিলেটরটা 0 থেকে -100  এর মধ্যে উঠা নামা করে। 0 থেক -20 ওভার বট, -80 থেকে -100 ওভারসোল্ড।

ফর্মুলা ও ক্যালকুলেশন
%R = (Highest High = Close)/(Highest High - Lowest Low) * -100

Lowest Low = Lowest Low for the look-back period
Highest High = highest high for the look-back period
%R is multiplied by -100 correct the inversion and move the decimal.

সেটিং
ডিফল্ট সেটিং ১৪ বার (পিরিয়ড,যে কোন টাইম ফ্রেম)।

ব্যবহার
মাইনাস ৫০ সেন্টার লাইন একটা গুরুত্বপুর্ন লাইন। লাইনের উপরে বা নিচে গেলে বুঝতে হবে মাঠ এখন বুল না বিয়ারের দখলে।

ওভারবট / ওভারসোল্ড
Williams %R 0 থেকে -100 এর মাঝে আপ ডাউন করে। -20 ওভারসোল্ড -80 ওভারবট।
ওভারবট হলেই যে বিয়ারিস হবে তেমন নয়। সিকুরিটি যখন খুবই বুলিস থাকে তখন অনেক দিন ওভারসোল্ড লেভেলই দেখাতে পারে।


এখানে লঙ্কা বাংলা সিকিউরিটিতে Williams %R নিয়মিত ওভারবট ও ওভারসোল্ড লেভেল হিট করছে। ওভার বট বা ওভারসোল্ড লেভেল টাচ করার পরেই -50 লাইন অতিক্রম করে বিপরীত ট্রেন্ডে প্রত্যাবর্তন।

Monday, 24 April 2017

Accumulation Distribution Line

Accumulation/Distribution Line

মার্ক চাইকিনের প্রবর্তিত আর একটা ইন্ডিকেটর। তিনি ভলুমের উপর নির্ভর করে সিকুরিটিতে অর্থের প্রবাহ পরিমাপ করতে এই ইন্ডিকেটরটি তৈরি করেন। চাইকিন ক্রমবর্ধিত মানি ফ্লো ইন্ডিকেটর হিসাবেই তৈরি করেন। ইন্ডিকেটরের  ডাইভার্জেন্স থেকে চার্টিস্টরা ট্রেন্ড বা রিভার্সাল বুঝতে পারে।

ফর্মুলা ও ক্যালকুলেশন
Formula and Calculation

(আপনি ফর্মুলা ও ক্যালকুলেশন অংশটি নিচে 'ব্যবহার' এর আগে পর্যন্ত বাদ দিতে পারেন)।
আপনাকে আগে Money Flow Multiplier বের করে নিতে হবে।
তারপর এই Money Flow Multiplier কে ভলুম দিয়ে গুন করতে হবে।
সবশেষে Money Flow Volume এর রানিং টোটাল বের করতে হবে।

এখানে,
1. Money Flow Multiplier = [(Close - Low) -(High - Close)] / (High - Low)
2. Money Flow Volume = Money Flow Multiplier x Volume for the Period
3. ADL = Previous ADL + Current Period's Money Flow Volume

Money Flow Multiplier টা +1 ও -1 এর মধ্যে উঠা নামা করে। প্রাইস যদি ক্যান্ডেলের উপরের অর্ধেকে ক্লোজ হয় তবে মাল্টিপ্লাইয়ার পজিটিভ  আর নিচে ক্লোজ হলে নেগেটিভ। ক্রয়ের চাপ বেশি দেখাবে যদি মাল্টিপ্লাইয়ার পজিটিভ হয় আর এর বিপরীত অবস্থা হলে বিক্রয়ের চাপ বেশি দেখাবে। এইটাই মুল বিষয়।

ব্যবহার
ইন্ডিকেটরটি পজিটিভ হলে ক্রয় চাপ আর নেগেটিভ হলে বিক্রয় চাপ। আবার প্রাইস হাই কিন্তু ইন্ডিকেটর ডাউন হলে সিকিউরিটির অন্তর্নিহিত সেল প্রেশার বুঝায়, তেমনি প্রাইস ডাউন কিন্তু ইন্ডিকেটর  আপ হলে সিকিউরিটির অন্তর্নিহিত বাই প্রাশার বুঝায়।

ট্রেন্ড কনফার্মেশন
Trend Confirmation

Accumulation Distribution Line প্রাইস ট্রেন্ডকে সুনিশ্চিত করে।


ডাইভার্জেন্স
এখানে ডাইভার্জেন্সের অর্থ 

প্রাইস যখন ডাউন আর Acc/Dist লাইন উপরে, তার অর্থ Accumulation বাড়ছে। প্রাইস ও বাড়বে।




প্রাইস আপ আর Acc/Dist লাইন ডাউন, তার অর্থ Distribution বাড়ছে।  সামনের দিনগুলি ডাউন।



Sunday, 23 April 2017

Rate of Change (ROC)

রেট অব চেঞ্জ ROC
Video






খুবই সরল একটা মোমেন্টাম ইন্ডিকেটর বা সাধারন মোমেন্টাম অসিলেটর। এক পিরিয়ড থেকে পরবর্তি পিরিয়ড পর্যন্ত কত পার্সেন্ট পরিবর্তন হলো সেইটাই প্রদর্শন করে।  এই অসিলেটরটি জিরো লাইনের উপরে ও নিচে উঠানামা করে। অসিলেটর হিসাবে ROC থেকে আমরা সেন্টার লাইন ক্রস ওভার, ডাইভারজেন্স ও ওভারবট - ওভারসোল্ড রিডিং পাই। কিন্তু ডাইভার্জেন্স অন্যান্য অসিলেটরের মত স্পষ্ঠ নয়। এমনকি সেন্টারলাইন ক্রসওভারও খুব বেশি আপডাউন করে, বিশেষত স্বল্পমেয়াদি ট্রেন্ডে এটা বেশি ঘটে। তাই আমরা ডাইভার্জেন্স নিয়ে এখানে আলোচনা করব না। তবে আমরা সেন্টারলাইন ক্রসওভারকে সার্বিক ট্রেন্ড শনাক্ত করতে ব্যবহার করতে পারি।

ফর্মুলা
আগেই বলেছি ROC একটা সাধারন ইন্ডিকেটর। এর ফর্মুলাও খুব সহজ।
ROC ক্যালকুলেশন বর্তমান প্রাইসকে নির্দিষ্ট সময়ের আগের মুল্যের সাথে তুলনা করে।

Calculation
ROC = [(Close - Close n periods ago) / (Close n periods ago) * 100

ব্যবহার বা প্রয়োগ
ROC একটা মোমান্টাম ইন্ডিকেটর মাত্র যেমনটি উপরে উল্লেখ করেছি। নির্দিষ্ট সময়ে প্রাইস কত পার্সেন্ট বাড়লো বা কমলো সেইটাই হিসাব করে। প্রাইস উপরে আপ ডাউনের সাথে ROC ও আপ ডাউন করতে থাকে। উপরে আকাশ সমান কিন্তু নিচে একটা লিমিটেশন আছে, 100% এর নিচে নামতে পারে না। যার ভ্যালু জিরো। কিন্তু ROC ওভার বট ও ওভার সোল্ড শনাক্ত করার মত সিগন্যাল দিতে পারে।

ট্রেন্ড শনাক্তকরন
Trend Identification
মোমেন্টাম অসিলেটরগুলি জিগজাগ বা রেঞ্জের মধ্যে ট্রেডে সুবিধাজনক। দীর্ঘ পিরিয়ডেও লং টার্ম ট্রেন্ড বুঝা যায়। নিচে যেমন বিভিন্ন পিরিয়ডের ROC বিভিন্ন দেখানো হলো।
ROC ভ্যালু বিভিন্ন হওয়ার কারন ROC সিকুরিটির পিরিয়ডের উপর নির্ভর করে।


পজিটিভ ROC হলে প্রাইস বাড়তে থাকে।


Money Flow Index

মানি ফ্লো ইন্ডেক্স

Video







প্রবর্তকঃ Gene Quong  ও Avrum Soudack.
বাই ও সেল প্রেশার নির্নায়ক একটা অসিলেটর, ভলুম ও প্রাইস দুইটাই ব্যবহার করে, সংগে RSI ও। তাই এই অসিলেটরকে ভলুম নির্ভর RSI ও বলে।
এই ইন্ডিকেটরটা একটা সিকুরিটিতে অর্থ প্রবেশ ও বের হয়ে যাওয়ার রেট নির্দেশক। অসিলেটরটা শুন্য থেকে ১০০ পর্যন্ত উঠানামা করে।


ফর্মুলা
১৪ পিরিয়ডের জন্য

1. Typical Price = (High + Low + Close)/3
2. Raw Money Flow = Typical Price x Volume
3. Money Flow Ratio = (14-period Positive Money Flow)/(14-period Negative Money Flow)
4. Money Flow Index = 100 - 100//(1 + Money Flow Ratio)

MFI কে RSI এর মতই ব্যবহার করা যায় কিন্তু RSI থেকে সামান্য পার্থক্য করে। আমরা জানি ভলুম প্রাইসের পরিবর্তন করে, পজিটিভ ভলুম প্রাইস বাড়ায় আর নেগেটিভ ভলুম প্রাইস কমায়। ভলুম ইন্ডিকেটরটিকে আরো স্পষ্ঠ করে তোলে। এখান থেকে আমরা ওভারবট ও ওভারসোলড লেভেল বের করতে পারি। ডাইভার্জেন্স থেকে ট্রেন্ডের দিক পরিবর্তন বুঝতে পারি। চূড়ান্ত লেভেলে (৮০ ও ২০) সুইং এর ব্যর্থতা রিভার্সালের ইংগিত দেয়।

ওভারবট ও ওভারসোল্ড লেভেল

SONALIANSH এর MFI এ ওভার বট ও ওভার সোল্ড লেভেল দেখানো হলো।


ডাইভার্জেন্স

বুলিস ডাইভার্জেন্স
ACI - প্রাইস যখন লোয়ার লো তৈরি করে MFI ইন্ডিকেটরটি তখন লোয়ার হাই তৈরি করে। এইটা ইন্ডিকেট করে সিকুরিটিতে মানি ফ্লো বৃদ্ধি পেয়েছে।



বিয়ারিস ডাইভার্জেন্স

Shurwid এর প্রাইস যখন হাইয়ার হাই তৈরি MFI তখন হাইয়ার লো তৈরি করে। এইটা নির্দেশ করে যে মানি ফ্লো কমে যাচ্ছে।



MFI যদিও RSI এর ফর্মুলায় ভলুম যোগ করা কিন্তু RSI এর সেন্টার লাইন (লাইন ৫০) যেমন বুল ও বিয়ারের আগমন বুঝতে পারে MFI তেমন না। বরং ইন্ডিকেটরটা ওভারবট ও ওভারসোল্ড লেভেলে রিভার্সালই ভালভাবে শনাক্ত করতে পারে। বুলিস ও বিয়ারিস ডাইভার্জেন্সও বুঝতে পারে।

Saturday, 22 April 2017

Chaikin Oscillator

চাইকিন ওসিলেটর
Video


মার্ক চাইকিন ওসিলেটরটি ম্যাকডি ফর্মুলার উপর ভিত্তি করে তৈরি করেন। তাই এই ওসিলেটরকে ইন্ডিকেটরের ইন্ডিকেটর বলে। চাইকিন ওসিলেটর Accumulation Distribution লাইনের মোমেন্টাম মাপার একটা পদ্ধতি।  ইন্ডিকেটরটি একুমুলেশন ও ডিস্ট্রিবিউশন লাইনের  তিন ও দশ দিনের এমার (EMA Exponential Moving Average) পার্থক্য। ট্রেন্ড পরিবর্তনের প্রথম ধাপ মোমেন্টাম পরিবর্তন। তাই চাইকিন ওসিলেটরের সাহায্যে ট্রেন্ডের পরিবর্তন ধরা পড়ে। জিরো লাইনের উপরে বাই সিগন্যাল ও নিচে সেল সিগন্যাল। বুলিস ও বিয়ারিস সিগন্যাল থেকেও ট্রেন্ডের পরিবর্তন বুঝা যায়।

ফর্মুলা
Formula
You may skip this formula. This is beyond the scope of this lesson.

1. Money Flow Multiplier = [(Close - Low) - (High - Close)] / (High - Low)
2. Money Flow Volume = Money Flow Multiplier x Volume for the Period
3. ADL = Previous ADL + Current Period's Money Flow Volume
4. Chaikin Oscillator = (3-day EMA of ADL) - (10-day EMA of ADL)

চার্টিস্টদের এই ধারনা রাখা অপরিহার্য যে এই ইন্ডিকেটরটি বাই ও সেল প্রেশারের মোমেন্টাম মাপার জন্য তৈরি করা হয়েছে। নেগেটিভ জোনে প্রবেশ করার অর্থ সেল প্রেসার বিদ্যমান আর পজিটিভ জোনে প্রবেশ করার অর্থ বাই প্রেসার বিদ্যমান।

বাই ও সেল সিগ্ন্যাল

নিচের চার্টে ShashaDnm এ চাইকিন ওসিলেটর পজিটিভ জোনে (above zero line) প্রবেশ করে তখন বাই সিগন্যাল আর যখন পুনরায় নেগেটিভ জোনে (below zero line) প্রবেশ করে তখন সেল সিগ্ন্যাল দেখানো হয়েছে।



ডাইভারজেন্স

বুলিস বা বিয়ারিস ডাইভারজেন্স হলে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন যে বাই বা সেল প্রেশারের পরিবর্তন আসন্ন।
নিচে Shashadnm প্রাইস চার্ট যখন হাইয়ার হাই তৈরি করে Chaikin Oscillator তখন লোয়ার হাই তৈরি করে। পরিস্কার নেগেটিভ বা বিয়ারিস ডাইভার্জেন্স। সিকুরিটির সেল প্রেশারই নির্দেশ করে।



Commodity Channel Index

কমোডিটি চ্যানেল ইন্ডেক্স, সিসিআই
Video 


১৯৮০ সালে Donald Lambert এই ইন্ডিকেটরটি প্রবর্তন করেন। লংটার্ম ট্রেন্ডের শুরু এই ইন্ডিকেটরটির সাহায্যে বেশ সহজ ভাবেই শনাক্ত করা যায়। সাইক্লিক মুভমেন্টে ট্রেড করার খুবই সহজ একটা ইন্ডিকেটর। কোন কোন ক্ষেত্রে ওভারবট বা ওয়ারসোল্ড অবস্থাও নিরূপন করতে এই ইন্ডিকেটরটির ব্যবহার আছে।


ফর্মুলা ও ক্যালকুলেশন
(ফরমুলা ও ক্যালকুলেশন রেফারেন্স হিসবে দেয়া, স্কিপ করতে পারেন)

CCI = (Typical Price - 20 period  SM of TP) / (0.015 x Mean Deviaton)

Typical Price (TP) = (High + Low + Close)/3
Constant =0.015

ক্যালকুলেশন হয় চার ধাপে,

প্রথম ধাপঃ টাইপিক্যাল পিরিয়ডের গড় প্রতিটা পিরিয়ডের টাইপিক্যাল প্রাইস থেকে বিয়োগ করতে হবে।
দ্বিতীয় ধাপঃ এই সংখ্যাগুলির absolute মান নিন।
তৃতীয় ধাপঃ Absolute ভ্যালুগুলি যোগ করুন।
চতুর্থ ধাপঃ পিরিয়ডের মোট সংখ্যা দিয়ে ভাগ করুন।

CCI  সমসাময়িক ও লিডিং ইন্ডিকেটর হিসাবেও কাজ করে। + 100 আপট্রেন্ড ও - 100 ডাউনট্রেন্ড  নির্দেশ করে।
লিডিং ইন্ডিকেটর - ওভারবট ওভারসোল্ড ছাড়াও ডাইভার্জেন্সের ট্রেন্ডের পরিবর্তন জানা যায়।

নতুন ট্রেন্ডের সুচনা,
ওসিলেটরটা সাধারণত +100 ও -100 এর মাঝে উঠানামা করে। এই রেঞ্জের বাইরে গেলে নতুন ট্রেন্ডের সূচনা ইংগিত করে। জিরো লাইন নির্ভরযোগ্য না। এখানে খুব বেশি আপ ডাউন করে।



ওভারবট ও ওভার সোল্ড
CCI এর কোন উর্ধ্ব বা নিম্ন সীমা নাই।  তাই ওভারবট বা ওভারসোল্ড নির্ণয় করা বেশ কঠিন। ওভারবট বা ওভার সোল্ড হওয়ার পরেও সিসিআই উপরের দিকে বা নিচের দিকে চলতে পারে। উপরে বেক্সিমকো ফার্মায় CCI এর মান 300+.

ডাইভার্জেন্স

বুলিস ডাইভার্জেন্স
ইসলামি ব্যাংক এপ্রিল-মে মাসে প্রাইস লোয়ার লো তৈরি করে, সিসিআই তখন হাইয়ার লো তৈরি করে।


বিয়ারিস ডাইভার্জেন্স
এপ্রিল মাসে প্রাইস যখন হাইয়ার হাই তৈরি করে সিসিআই তখন লোয়ার হাই তৈরি করে।


সাইক্লিক ট্রেন্ড
অলিম্পিকের উইকলি চার্ট। প্রাইস এখানে সমান্তরাল চ্যানেল অনুসরন করছে। CCI এখানে বেশ নিখুঁত ভাবেই বাই ও সেল পয়েন্টগুলি শনাক্ত করতে পেরেছে।



Friday, 21 April 2017

Fibonacci

ফাইবোনেচি
প্রকৃতির সংখ্যা পদ্ধতি।  প্রকৃতির সর্বত্রই এই সংখ্যা পদ্ধতি বিদ্যমান। বৃক্ষ, লতা, পাতা, ফুল, ফল সর্বত্রই এই সংখ্যা পদ্ধতি মেনে চলে।

গাছের শাখা প্রশাখা বিস্তার

পাতার বিন্যাস

ফুলের পাপড়ির বিন্যাস

ফুলের বীজ বিন্যাস


জীবের দেহ বিন্যাস



ফাইবোনেচি ম্যাথ
এবার আমরা ফাইবোনেসি পিওর ম্যাথে এলাম। অংক হলেও মজাই পাবেন।  ট্রেডিং এর জন্য ম্যাথ জানা আবশ্যক নয়। ঠিক যেমন RSI, MACD বা Chaikin Oscillator এর ভিতরের জটিল ম্যাথ জানা ট্রেডারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নয়। কোন কোন বইতে এমনও লেখা থাকে, Mathematical explanation is beyond the scope of this book. তবুও অন্ততঃ পরবর্তি সংখ্যাটা কি হবে সেইটা বাহির করা শিখে নেই।

ম্যাথ
ফাইবোনেচি সিক্যুয়েন্স কি?
0, 1, 1, 2, 3, 5, 8, 13, 21, 34, ...
সিক্যুয়েন্সটার মধ্যে একটা সহজ সম্পর্ক আছে, পরবর্তি সংখ্যা = পুর্বের দুইটি সংখ্যার যোগ ফল।
কিভাবে?
0 = 0+0
1 = 0+1
2 = 1+1
3 = 1+2
5 = 2+3
...........
............
তাহলে 
34 এর পরবর্তি সংখ্যা কি? দেখা যাক...
আগের দুইটি সংখ্যা যোগ করুন, 21+34= 55
কতই না সহজ!

সিক্যুয়েন্সটা আর একটু লম্বা করি, 0, 1, 1, 2, 3, 5, 8, 13, 21, 34, 55, 89, 144, 233, 377, 610, 987, 1597, 2584, 4181, 6765, 10946, 17711, 28657, 46368, 75025, 121393, 196418, 317811, ...
আপনি অন্ততঃ পরবর্তি সংখ্যাটা বাহির করুন।

এবার এই স্পাইরালটার ভিতর লক্ষ্য করুনঃ


13 আর 21 যোগ করুন। সমান 34।

আরো জটিল জিনিষও সহজ করে বুঝানো যায়। কিন্তু এখানে আমিও বলতে চাই, Mathematical explanation is beyond the scope of this book.

ইতিহাস
ফাইবোনেচি একজন গণিতবিদ। Leonardo Pisano Bogollo এবং তিনি বেঁচে ছিলেন ১১৭০ থেকে ১২৫০ এর মাঝে। Fibonacci তার ডাক নাম। অর্থ বোনাসির ছেলে। কারন তাঁর বাবার নাম ছিলেন বোনাসি।
এই ইতিহাস কতটা নির্ভরযোগ্য?
ইউরোপে তখন রোমান হরফের প্রচলন ছিল, সংখ্যাও। যেমন I, II, III, IV, V, ইত্যাদি। এভাবে অঙ্ক করা ছিল বড়ই কঠিন। আরবীয় ও ভারতীয়রা ০,১,২,৩,৪,৫ ... ইত্যাদি ব্যবহার করত। তিনি আরবীয়দের নিকট থেকে এই সংখ্যা পদ্ধতি ও ফাইবোনেচি পদ্ধতি ইউরোপে নিয়ে যান। আরবীয়রা ফাইবোনেচি ভারতীয়দের কাছ থেকে জানে। এভাবে ফাইবোনেচি ইউরোপকে অঙ্কের জটিলতা থেকে মুক্তি দেন।


ফাইবোনেচি ট্রেডিং
যারা এমিব্রোকার বা অন্য কোন এপ্লিকেশন ব্যবহার করেন তারা নিশ্চয়ই এপ্লিকেশনের ভিতরে এই টুলসগুলি দেখে থাকবেন। Gann, Pitchfork, Spiral line, Fibonacci Arc, Ellipse, Fibonacci Fan, Fibonacci time zone, Fibonacci retrachment, Fibonacci Extension.

ফাইবোনেসি রিট্রেসমেন্ট, পুলব্যাক 

ফাইবোনেসি রিট্রেসমেন্ট ও পুলব্যাক জানার আগে আমাদের ট্রেন্ড কি জানতে হবে। ট্রেন্ড নিয়ে অন্যত্র আলোচনা করা হয়েছে। এখানেও কপি করে দিলাম।

ট্রেন্ড  বা প্রবণতা
Trend
ট্রেন্ড হ'ল কোনও বাজারের বা সামগ্রীর দামের সামগ্রিক দিক। প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণে  আপট্রেন্ডের জন্য উচ্চতর সুইং হাই এবং উচ্চতর সুইং লো (higher high and higher low) তৈরি করে, বা ডাউন ডাউনট্রেন্ডের জন্য নিম্নতর সুইং লো এবং নিম্নতর সুইং হাইগুলি (lower low and lower high) তৈরি করে।



ট্রেন্ড বাজার বা সম্পদের মূল্যের উর্দ্ধমুখী বা নিম্নমুখী প্রবণতা। ট্রেন্ড স্বল্পস্থায়ী বা দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে।
বলা হয়ে থাকে, Trend is your friend. ট্রেন্ডের অনুকূলেই বাই সেল করতে হয়। সুদের হার, কারেন্সি মার্কেট, মূলধন সব মার্কেটেই ট্রেন্ড বিদ্যমান।

নিচের চিত্রে ট্রেন্ড
Video



এটা একটা আপট্রেন্ডের উদাহরন। মূল্য ১৮.১৬ যেয়ে আবার পিছনে ফিরে এসেছে বা ট্রেন্ডের বিপরীতে চলতে শুরু করে।। এই পিছনে ফিরে আসাকেই বলে রিট্রেসমেন্ট। কতটুকু রিট্রেসমেন্ট হলো সেটা মাপি রিট্রেসমেন্ট টুল দিয়ে। ফাইবো ৩৮.২% রিট্রেসমেন্টের পরে মূল্য আবার ট্রেন্ড ফলো করে ও চলতে শুরু করে। আবার তার আগের ট্রেন্ড ফলো করাকেই বলে পুলব্যাক। আমরা এই পুলব্যাক মাপতে পারি ফাইবোনেসি এক্সটেনশন টুলস দিয়ে।
তাহলে এই দাঁড়ালো যে রিট্রেসমেন্ট ও পুলব্যাক মাপতে আমরা যথাক্রমে রিট্রেসমেন্ট ও এক্সটেনশন টুল ব্যবহার করব।
এখানে এক নজরে দেখে নিন কতটুকু রিট্রেসমেন্টে কতটুকু পুলব্যাক। যদিও এই টেবিলটা নিচে দেয়া আছে। এখানে বিষয়ের পরিপূর্ণতার জন্য আবার দিলাম।





ফাইবোনেসি রিট্রেসমেন্ট ভাল কাজ করে যখন মার্কেট ট্রেন্ডিং অবস্থায় থাকে।
ফাইবোনেচির ব্যবহার বহুবিধ। আমরা এখানে শুধু  Fibonacci retrachment, Fibonacci Extension ট্রেডিং নিয়েই আলোচনা করব।

শুরুর আগেই আমরা কিছু পুরাতন বিষয় ঝালাই করে নেই। 

ফাইবোনেসি রিট্রেসমেন্ট লেভেল
: 0.236, 0.382, 0.500, 0.618, 0.786.

সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স
Support and resistance


সাপোর্টঃ  এই স্তরের নিচে বিক্রেতারা আর বিক্রী করতে চায় না।
রেজিস্ট্যান্সঃ যে স্তরে ক্রেতারা আর কিনতে চায় না।

সুইং হাই ও সুইং লো
Swing high and Swing low



সুইং হাইঃ যে ক্যান্ডেলস্টিক একটা হাই তৈরি করে এবং উভয় পার্শে দুইটি করে লোয়ার হাই ক্যান্ডেলস্টিক থাকে।
সুইং লোঃ  যে ক্যান্ডেলস্টিক একটি লো তৈরি করে এবং  উভয় পার্শে দুইটি করে হাইয়ার লো ক্যান্ডেলস্টিক থাকে।
ফাইবোনেচি সাপোর্ট / রেজিস্ট্যান্স ও  রিট্রেসমেন্ট লেভেল
Fibonacci Retracement Levels

ফাইবোনেসি সাপোর্ট/ রেজিস্ট্যান্স লেভেল সমান্তরাল রেখা।
ফাইবোনেসি রিট্রেসমেন্ট আমাদের সাকসেসের উচ্চ সম্ভাবনা দেয় কিন্তু সব সময় কাজ করে না।রেঞ্জ বাউন্ড বা সাইডওয়ে মার্কেটে ভুল সিগন্যাল দেয় যেমন মুভিং এভারেজ দিয়ে থাকে।
ফাইবোনেচি রিট্রেসমেন্ট লেভেল অনুসন্ধান করতে সাম্প্রতিক সুইং হাই ও সুইং লো বের করতে হবে। ডাউনট্রেন্ডের ক্ষেত্রে সুইং হাইতে ক্লিক করে সুইং লো পর্যন্ত টেনে আনুন। আর আপট্রেন্ডের ক্ষেত্রে সুইং লো তে ক্লিক করে সুইং হাই পর্যন্ত টেনে নিতে হবে। ফাইবোনেসি রিট্রেসমেন্ট আমাদের সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেল বের করতে সহায়তা করে। 

কিভাবে ফাইবোনেসি রিট্রেসমেন্ট টুল ব্যবহার করব?
১। ট্রেন্ড শনাক্ত করুন।
২। ফাইবোনেসি রিট্রেসমেন্ট টুল উপরে ধরুন। ডাইনে টানুন, এই অবস্থায় রেখে বটম পর্যন্ত টেনে নিন।
৩। ০.২৩৬, ০.৩৮২ ও ০.৬৮১ এই পয়েন্টগুলি পর্যবেক্ষণ করুন।

How to draw Fibonacci Retracement
ফাইবোনেসি রিট্রেসমেন্ট টানা




আমিব্রোকারে ফাইবোনেসি রিট্রেসমেন্ট টুল

Fibonacci Extension and how to Fibonacci Extension
ফাইবোনেসি এক্সটেনশন ও কিভাবে ফাইবোনেসি এক্সটেনশন টানা যায়

ফিবোনাচি এক্সটেনশন হল সাপোর্ট বা রেজিস্ট্যান্সের অনুমানিত এলাকাগুলি খুঁজে বের করার একটি উপায় যখন মূল্য এমন একটি এলাকায় চলে যায় যেখানে সাপোর্ট বা রেজিস্ট্যান্সের অন্যান্য পদ্ধতিগুলি প্রযোজ্য বা স্পষ্ট নয়। দাম যদি একটি এক্সটেনশন লেভেলের মধ্য দিয়ে চলে যায়, তাহলে এটি পরের দিকে যেতে পারে।



ট্রেডিং ভিউতে (আমারস্টক, স্টকবাংলা, লঙ্কা বাংলা)...




আপ ট্রেন্ড (Up trend)

আপ ট্রেন্ডে সুইং
এখানে ফেডারেল ইন্সিউরেন্সের (FEDERALINS) সুইং হাই 18.27 থেকে 1.24 পর্যন্ত ফাইবো টানি। কয়েকটি স্তরে ট্রেডাররা পুনরায় বাই করার জন্য অপেক্ষা করবে, প্রধান দুইটি স্তর ফাইবো 38.2% ও ফাইবো 61.8%। হ্যাঁ প্রাইস আবার ৩৮.২% নেমে উপরে উঠে গেল।








ডাউন ট্রেন্ড (Down trend)

ডাউন ট্রেন্ডে সুইং
এখানে প্রানের (AMCL PRAN) সুইং লো 91.64 থেকে 144.20  পর্যন্ত ফাইবো টানি। কয়েকটি স্তরে ট্রেডাররা পুনরায় সেল দেয়ার জন্য অপেক্ষা করবে, প্রধান দুইটে স্তর ফাইবো 38.2% ও ফাইবো 61.8%। হ্যাঁ প্রাইস আবার ৩৮.২% উঠে নেমে গেল।

 

Saturday, 15 April 2017

On Balance Volume

অন ব্যালান্স ভলুম

 বাই ও সেল প্রেশার পরিমাপক একটা ইন্ডিকেটর। জো গ্রানভিল এই ইন্ডিকেটরটি প্রবর্তন করেন। অন ব্যালান্স ভলুম একটা কিউমুলেটিভ ইন্ডিকেটর।
প্রাইস যদি কমে বা একই থাকে কিন্তু অন ব্যালান্স ভলুম হাই বা আগের অবস্থান ধরে থাকে তবে বলা যায় প্রাইস বাড়বে।  আবার প্রাইস যদি বাড়ে বা একই থাকে কিন্তু অন ব্যালান্স ভলুম কমে তবে বলা যায় প্রাইস কমবে।
মূল ধারণাটি হল একটি ইন্ডিকেটর তৈরি করা যা ঊর্ধ্বমুখী ক্রয়ের গতি বা নিম্নমুখী বিক্রির গতি দেখায়। যখনই দাম ক্রমাগত ইতিবাচক বন্ধ দেখায়, তখনই OBV বৃদ্ধির কথা বলা হয়। এটি পজিটিভ – গ্রিন ক্লোজ --এ ভলিউম যোগ করার এবং নেগেটিভ ক্লোজে ভলিউম বাদ দেওয়ার কারণে।


তাই OBV অন-ব্যালেন্স ভলিউম আরও স্পষ্ট সংকেত তৈরি করে যা বিনিয়োগকারীদের একটি লাভ জনক ট্রেড শনাক্ত করতে সহায়তা করে।

আমরা কিভাবে ট্রেডে OBV ব্যবহার করব?
Volume precedes price. এই সূত্রটা আগে মনে রাখুন।
কিন্তু কখনো এমন হয় যে দ্রুত মূল্য পড়ে যায় কিন্তু ভলিউম খুব সামান্যই পড়ে। আবার কখনো মূল্য পড়ে গেলেও ভলিউম বাড়ে। এইগুলি অভিজ্ঞ ট্রেডারদের কিছু কেনা বেচার কৌশলের কারনেই হয়। এর মধ্যে আছে ইনসাইড নিউজ, প্যানিক ইত্যাদি। অনেক সময় বড় বিনিয়োগকারিরা জানে যে কোম্পানিটা সামনের দিনগুলিতে ভাল করবে। ফলে তারা শেয়ারটা ধরে রাখে। ছোট বিনিয়োগকারিরা পুঁজি বাঁচাতে দ্রুত শেয়ারটা ছেড়ে দেন। আর বড় বিনিয়োগকারিরা ঐ শেয়ারগুলি কিনে নেন। এই জন্য ভলিউমের সংগে সামঞ্জস্য না রেখেই শেয়ারের দাম কমে। কিন্তু প্রাইস একটু স্থিতিশীল হলেই এর উল্টো আচরন শুরু হয়। অর্থাৎ প্রাইস দ্রুত ভলিউমের সংগে সামঞ্জস্যপুর্ন অবস্থানে ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করে। এই সময়ে ট্রেডাররাও বুল মুভমেন্টে শরিক হয়। ফলে মূল্য আরো উপরে উঠে যায়।
আমরা এই অবস্থাটা কিভাবে চার্টে ব্যাখ্যা করব?
OBV আর প্রাইস চার্ট দেখে কি সাদা চোখে ভলিউমের এই পরিবর্তনটা ধরতে পারি?
নিচের চিত্রে ভলিউম ও প্রাইসের পার্থক্য তেমন দৃষ্টিগোচর হয় না।


কিন্তু আমরা যদি একটা দীর্ঘ মেয়াদী মুভিং এভারেজ - প্রাইস ও ভলিউমের সঙ্গে যুক্ত করি তবে একটা পার্থক্য লক্ষ্য করব। আমরা এখানে ১২০ দিনের এমা নিতে পারি। এবার প্রাইস ও ভলিউমের পার্থক্য স্পষ্ঠ।

কখন বাই দিব?
যখন ট্রেন্ড লাইন ব্রেক আউট হবে।