Pages

Monday 29 May 2017

Elliott Wave Theory

ইলিয়ট ওয়েভ থিয়োরি
(Video নিচে)
Ralph Nelson Elliott পঁচাত্তর বৎসরের ডাটা পর্যবেক্ষণ করে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে মার্কেটের আচরন যেমন বিক্ষিপ্ত মনে করা হয় তেমন না। বরং কিছু সুনির্দিষ্ট নিয়মের মধ্যেই চলে। তিনি তার ওয়েভ সূত্রে মার্কেটের আচরন ও নিয়মগুলি ব্যাখ্যা করেন।

তিনি দেখান যে সমসাময়িক ট্রেডারদের মানসিকতা, আবেগ, লোভ, ভয় ইত্যাদি তাড়িত হয়ে মার্কেট কিছু সুনির্দিষ্ট আচরন করে থাকে যা ঐতিহাসিকভাবেই ঘটতে থাকে।
তিনি তার ব্যাখ্যায় বলেন যে, সম্মিলিত মানসিকতার পরিবর্তন একইভাবে বারবার ঘটতে থাকে। সম্মিলিত মানিসিকতা মূল্যের উপর প্রতিফলিত হয় ও মূল্য বার বার উঠা নামা করে। উপরে ও নিচে উঠানামা করাকেই তিনি ওয়েভ হিসাবে আখ্যা দেন। তিনি বলেন যে মূল্যের এই পুনরাবৃতি যদি সঠিক ভাবে শনাক্ত করা যায় তবে আমরা মূল্য কোথায় যাবে বা যাবে না সঠিকভাবে বলতে পারি।

এখানে বেসিক এলিয়ট ওয়েভ প্যাটার্ন নিয়ে আলোচনা করা হল।

স্টকের আচরন এলিয়ট ওয়েভ প্যাটার্ন  দ্বারা ব্যাখ্যা করা যায়।। সব স্টকই পাঁচটা মৌলিক ওয়েভের সমষ্টি যার মধ্যে মোটিভ ফেজ ও কারেক্টিভ ফেজ আছে। সুইং ট্রেডাররা শুধু মোটিভ ফেজই পছন্দ করে কিন্তু আনুসঙ্গিক কারেক্টিভ ফেজ একটা অবশ্যম্ভাবি ঘটনা। প্রথম পুলব্যাকই সব ট্রেডারের পছন্দ।

এলিয়ট ওয়েভের বিভিন্ন ফেজ

পাঁচটা ওয়েভ নিয়ে মোটিভ ফেজ। এক থেকে পাঁচ সংখ্যা দিয়ে মোটিভ ফেজকে শনাক্ত করে হয়েছে। এইগুলি আপট্রেন্ড। 1, 3 ও 5 মোটিভ ওয়েভ।

কারেক্টিভে ওয়েভ
কারেক্টিভ ওয়েভগুলি A, B ও C.
২১ প্রকারের কারেক্টিভ ওয়েভ আছে। যেহেতু আমরা এখানে ইলিয়ট ওয়েভের একটা ধারনা নিতে চাই তাই বিভিন্ন ওয়েভের বিস্তারিত আলোচনার বাইরেই থাকতে চাই।

ফান্ডামেন্টাল কারেক্টিভ ওয়েভগুলি
ফ্লাট কারেকশন

জিগজাগ কারেকশন


ট্রায়াঙ্গেল কারেকশন





ওয়েভ ওয়ান
ডাউনট্রেন্ডের শেষে ওয়েভ ওয়ানই আপট্রেন্ডের সূচনা। ট্রেন্ডের শুরু। 
ওয়েভ টু

কিছুটা কারেকশন। ওয়েভ টু ওয়েভ ওয়ানকে ১০০% এর বেশি রিট্রেস করবে না।
অন্য কথায় বলতে পারি, ওয়েভ টু ওয়েভ ওয়ানের এলাকায় ঢুকতে পারবে না।
ওয়েভ থ্রী
দীর্ঘ ও শক্তিশালি ওয়েভ। ওয়েভ ১, ৩ ও ৫ এর মধ্যে ওয়েভ ৩ কখনোই ছোট হবে না। সাধারনত সবচেয়ে দীর্ঘ হয়ে থাকে।
ওয়েভ ফোর

যারা দেরিতে কিনলেন তাদের জন্য খুবই নৈরাশ্যজনক। এখন খুব ধীরেই চলবে।
ওয়েভ ফোর ওয়েভ ওয়ানকে ওভার ল্যাপ করবে না।
ওয়েভ ফাইভ
ধীর। ওয়েভ থ্রী'র মত দীর্ঘ ও শক্তিশালি না। ডাউনট্রেন্ডের পুর্বে কেনার শেষ সুযোগ।

ওয়েভ A, B ও C

ডাউন ট্রেন্ড। ওয়েভ A, পুলব্যাক আসলে বুলট্র্যাপ। B সাধারনত ৫ এর উপরে যায় না। C সর্বশেষ ডাউন্ট্রেন্ড ওয়েভ।
এইগুলিই এলিয়ট ওয়েভের বেসিক স্ট্র্যাকচার।

উপরে আমরা এলিয়ট ওয়েভের একটা সাধারণ পরিচিতি জানলাম। এবার একটু বিশদ আলোচনায় আসি।

লেবেলিং
Labeling

ওয়েভের ভিতরেও ওয়েভ থাকে, আবার বাইরেও থাকে। লেবেলগুলি বিভিন্ন স্তর বিশিষ্ঠ হতে পারেঃ

আমরা এখানে ইন্টারমিডিয়েট লেবেলগুলি নিয়েই আলোচনা করব।
বাস্তবে বেশিরভাগ চার্টিস্টরাই ১-৩ ওয়েভ ডিগ্রী ব্যবহার করে থাকে। ৯টা ওয়েভ ডিগ্রী ব্যবহার খুবই জটিল।

মোটিভ ওয়েভ
Motive Waves
দুই ধরনের মোটিভ ওয়েভ, ইম্পালস (Impulse)  ও ডায়াগনাল (Diagonal)।   আমরা এখানে এই দুই ধরনের ওয়েভ  নিয়েই আলোচনা করব।

ইম্পালস ওয়েভ
Impulse Wave

ইলিয়ট ওয়েভ ব্যাখ্যা দিতে সাধারনতঃ যে স্ট্রাকচারটা প্রদর্শন করে থাকি সেইটাই ইম্পালস ওয়েভ।  ইম্পালস ওয়েভ সচরাচর দেখা যায়,  সহজে শনাক্ত করা যায়। মোটিভ ওয়েভে, পাঁচটা সাবওয়েভে যেমন থাকে  তিনটা মোটিভ  ওয়েভ ও দুইটা কারেক্টিভ ওয়েভ। এদের লেবেল ৫-৩-৫-৩-৫। এদের তিনটা  অলংঘনীয় নিয়ম মেনে চলতে হয়, 

Cardinal Wave Rules
১। ওয়েভ টু ওয়েভ ওয়ানকে ১০০% এর বেশি রিট্রেস করবে না।
অন্য কথায় বলতে পারি, ওয়েভ টু ওয়েভ ওয়ানের এলাকায় ঢুকতে পারবে না।
২। ওয়েভ ১, ৩ ও ৫ এর মধ্যে ওয়েভ ৩ কখনোই ছোট হবে না। সাধারনত সবচেয়ে দীর্ঘ হয়ে থাকে।
৩। ওয়েভ ফোর ওয়েভ ওয়ানকে ওভার ল্যাপ করবে না।

ওয়েভ এক্সটেনশন
Wave Extension
অধিকাংশ সময়ই ওয়েভগুলিকে সঠিক ভাবে শনাক্ত করা যায় না। দৈর্ঘে কম বা বেশি  হয়ে থাকে। ১,২ বা ৩ যেকোনটাতেই এইটা ঘটতে পারে।
আবার কখনো সবগুলি ওয়েভই একরকমই দেখায়, খুবই সামান্য নিয়মের মধ্যে থাকে। যেটা শনাক্ত করা অনেক কঠিন হয়ে  দাঁড়ায়।

এক্সটেন্ডেড ওয়েভ শনাক্তকরনে যদি ভুলও করেন তবে আপনার সেরা চেষ্টায় যা হয় সেইটাই যথেষ্ঠ। যদি ১ ও ৫ একই রকম লম্বা লাগে তবে এটা খুব সম্ভব ওয়েভ ৩।
এক্সটেন্ডেড ওয়েভ ইম্পালসও বটে। এক্সটেন্ডের ভিতরে এক্সটেন্ডও ঘটে থাকে।

ইম্পালস ওয়েভ ট্রাঙ্কেশন
Impulse Wave Truncation (Truncated fifth)
মার্কেট কখনো এতই দুর্বল হয় পড়ে যে ওয়েভ ৫ ওয়েভ ৩ এর উপরে উঠতেই পারেনা। এই অবস্থাকে ফেইলার বা ট্রাঙ্কেশন বলে।

সব মোটিভ ওয়েভের মত ট্রাঙ্কেটেড ফাইভেরও ৫টা সাব ওয়েভ থাকে। কিন্তু এই অবস্থায়ও হঠাত করে ওয়েভ ৫ ওয়েভ ৩ এর উপরে উঠে যেতে পারে।


ডায়াগনাল ওয়েভ
Diagonal Wave
ডায়াগনাল ওয়েভ দ্বিতীয় ধরনের মোটিভ ওয়েভ। এটা ইম্পালস ওয়েভ নয় কিন্তু সব মোটিভ ওয়েভের মতই এর পাঁচটা সাব ওয়েভ থাকে। মার্কেটকে ট্রেন্ডের দিকেই নিয়ে যায়। সঙ্কুচিত বা প্রসারিত উভয় আকারে এই ওয়েভ ওয়েজের (Wedge) এর মত দেখায়। তবে সাব ওয়েভের পাঁচটা ওয়েভ নাও থাকতে পারে। সেটা ওয়েভের ধরনের উপর নির্ভর করে। এইগুলি এখন আমরা আলোচনা করব।
মোটিভ ওয়েভে যেমনটা হয়, ডায়াগনাল সাবওয়েভ পুর্বের ওয়েভকে সম্পুর্ন রিট্রেস করবেনা, সাব ওয়েভ ৩ সবচেয়ে ছোট হতে পারবে না।।

এখানে ডায়াগনাল ও ইম্পালসের পার্থক্য দেখানো হলোঃ

প্রান্তিক ডায়াগনাল
Ending  Diagonal
প্রান্তিক ডায়াগনাল ইম্পালস ওয়েভের ওয়েভ-৫ এ বা কারেক্টিভ ওয়েভের শেষে দেখা যায়। এই প্যাটার্ন আগের ট্রেন্ডের সমাপ্তি নির্দেশক। ইম্পালস ওয়েভের প্যাটার্ন ৫-৩-৫-৩-৫ কিন্তু প্রান্তিক ডায়াগনালের  প্যাটার্ন ৩-৩-৩-৩-৩। প্রান্তিক ডায়াগনালের ৫টা ওয়েভ ৩টায় নেমে আসতে পারে আবার ওয়েভ-২ এবং ওয়েভ-৪ এর ওভারল্যাপিং হতে পারে।


প্রান্তিক ডায়াগনাল ওয়েজ আকৃতির হলেও মাঝে মাঝে ওয়েজের মাথা প্রসারিত হতেও  দেখা যায়, যদি এটার নমুনা খুবই কম। প্রান্তিক ডায়াগনালের তিনটা  সাব ওয়েভে কারেক্টিভ নেচারের, ।

লিডিং ডায়াগনাল
Leading Diagonal
লিডিং ডায়াগনাল খুব কমই ঘটে, কখনো ইম্পালস ওয়েভের ওয়েভ-১ এ, আবার কখনো ওয়েভ-A তে  জিগজাগ কারেকশন আকারে দেখা যায়। ইম্পালস ওয়েভের মতই ৫-৩-৫-৩-৫ ওয়েভ স্ট্রাকচার কিন্তু এক্ষেত্রে ওয়েভ-২ ও ওয়েভ-৪ একটা আরেকটা এলাকার মধ্যে ঢুকে যায়।

ওয়েভ 1,3 এবং 5 এর সাব ডিভিশনের কারনে প্যাটার্নটা ট্রেন্ডের কন্টিন্যুয়েশন নির্দেশ করে। যেখানে Ending Diagonal Pattern 3-3-3-3-3 ট্রেন্ডের সমাপ্তি নির্দেশ করে। 



Video

Real life example and success stories
Target met 100%
Example 1



Example 2
Target met

Example 3
Target met



Parabolic Sar


প্যারাবলিক সার
Parabolic SAR ট্রেডিং কৌশলটি মূলত একটি ট্রেন্ড ট্রেডিং কৌশল। এটি একটি নির্দিষ্ট Trend সনাক্ত করতে ব্যবহৃত হয় এবং এটি ট্রেন্ডের কন্ডিন্যুয়েশন এবং সম্ভাব্য ট্রেন্ড রিভার্সালের পূর্বাভাস দেওয়ার চেষ্টা করে। উদাহরণ স্বরূপ, যদি প্যারাবোলিক লাইনটি সবুজ হয় তবে আপনি বুলিশ ধারাকে অনুসরণ করুন এবং আপনার পজিশন ধরে রাখুন।

Welles Wilder সময় ও মুল্যের সম্পর্ক ভিত্তিক এই ইন্ডিকেটরটি প্রবর্তন করেন। SAR এর অর্থ Stop and reverse. ইন্ডিকেটরটি মুল্যের নিচে থাকে যখন প্রাইস বাড়তে থাকে আর মুল্যের উপরে থাকে যখন প্রাইস নিচে নামতে থাকে। 

Video


প্যারাবলিক সার ট্রেন্ড ও প্রাইস অনুসরন করে। যখনই ট্রেন্ড পরিবর্তন হয় সার তখনই বিপরীত দিকে ডট স্থাপন করে। ডটগুলি একের পর এক চলতেই থাকে যতক্ষন না ট্রেন্ড পরিবর্তন হয়। 

ব্যবহার
প্যারাবলিক সার ব্যবহার খুব সহজ। যখন নিচে ডট শুরু হবে তখন বাই আর যখন ডট উপরে শুরু হবে তখন সেল।


প্যারাবলিক সার ট্রেন্ডিং মার্কেটে ভাল কাজ করে কিন্তু  সাইড ওয়েজ মার্কেটে ফলস সিগ্ন্যাল দিয়ে থাকে। অন্যান্য ইন্ডিকটরের মত অবশ্যই একাধিক ইন্ডিকেটরের সংগে মিলিয়ে ব্যবহার করতে হবে।


Wednesday 17 May 2017

Bump and Run Reversal Top

বাম্প এন্ড রান রিভার্সাল টপ
Bump and Run Reversal Top


বুল বা বিয়ার যেকোন মার্কেটে বুল্কোভস্কির বাম্প এন্ড রান রিভার্সাল টপ ভাল কাজ করে।

প্যাটার্ন আইডেন্টিফিকেশন
প্যাটার্নের লিড ইন ফেজ ফ্রাইপ্যানের হাতলের ন্যায়। প্যাটার্ন কনফার্ম করে যখন প্রাইস আপ স্লোপিং ট্রেন্ড লাইনকে টাচ করে।
Video
Three Rising Valleys
Bump and Run Reversa
Three Falling Peaks
(see at the bottom)



প্যাটার্ন পরিচিতি

লিড ইন ফেজ
Lead-in Phase


প্যাটার্নের প্রথমাংশ লিড ইন ফেজ। এই অংশটুকু তৈরি হতে এক মাস বা তার বেশি সময় লাগে। এখানে যে স্ট্রাকচার তৈরি হয় তার উপর ভিত্তি করে ট্রেন্ড লাইন আঁকা যায়। এই অংশে খুব ধীরে ধীরে গঠন হয়, মোটামুটি খাড়া ট্রেন্ড গঠন করে। প্রাইস বা বার স্ট্রাকচার বেশ মসৃন থাকে। এটা খালি চোখেই বুঝা যায়।

বাম্প ফেজ
Bump Phase


এই অংশে প্রাইস খুব দ্রুত ও খাড়া উপরের দিকে উঠে যায় যা লিড ইন ফেজের সংগে তুলনা করলেই বুঝা যায়।

বাম্প ভ্যালিডিটি
Bump Validity

বাম্প ফেজ লিড ইন ফেজ অপেক্ষা দ্বিগুন লম্বা এবং খুব দ্রুত উপরে উঠে।

বাম্প রোলওভার
Bump Rollover

প্রাইস পিক ও টপ তৈরি করে। কখনো ডবল টপ ও তৈরি করে। তারপর লিড ইন ট্রেন্ড লাইন বরাবর নামতে থাকে।

ভলুম
Volume

ভলুম মধ্যম বা কম থাকে।

রান ফেজ

Run Phase
লিড ইন ট্রেন্ড লাইন সাপোর্ট হিসাবে কাজ করে। যখন সাপোর্ট ভেংগে যায় প্রাইস দ্রুত নিচে নামতে থাকে।

ট্রেডিং কৌশল
Trading Tactics 


প্যাটার্নের প্রফিট টার্গেট; বাম্প এর লম্ব দূরত্ব ব্রেক আউট পয়েন্টে যোগ করতে হবে।



Broadening Wedge, Ascending

ব্রডেনিং ওয়েজ, এসেন্ডিং
মেগাফোনের আকারে হয়ে থাকে, আপ স্লোপিং। কোন ট্রেন্ড লাইনই সমান্তরাল নয়। উপরের ট্রেন্ড লাইন কতকটা খাড়া উপরের দিকে, কিন্তু নিচের  ট্রেন্ড লাইন কম। প্রতি পার্শে কম পক্ষে তিনবার স্পর্শ করে থাকে। অনিয়মিত ভলুম, কখনো বাড়ে আবার কখনো কমে।  নিচের  ট্রেন্ড লাইন ব্রেক করে। রিভার্সাল বা কন্টিন্যুয়েশন যেকোনটাই হতে পারে। ২৩ থেকে ১৩১ দিনে এই প্যাটার্ন ফর্ম করে থাকে। বেশিরভাগ প্যাটার্নের গড় ফর্মেশন দিন ৫৪ থেকে ৬৪।

 লম্বা প্যাটার্নগুলি খাট প্যাটার্ন থেকে ভাল প্রফিট দিয়ে থাকে। আবার চওড়া প্যাটার্ন থেকে সরু প্যাটার্নও ভাল প্রফিট দিয়ে থাকে। খাট ও চওড়া প্যাটার্ন পরিহার করাই উত্তম।



ট্রেডিং কৌশল

সর্বোচ্চ উচ্চতা নিরুপন করুন। এখানে AB.
টার্গেট প্রাইসঃ ব্রেক আউট পয়েন্টে AB দুরত্ব বিয়োগ করুন।
রিটেস্টঃ রিটেস্টের জন্য অপেক্ষা করতে পারেন।
স্টপলসঃ ট্রেন্ড লাইনের উপরে (যেই ট্রেন্ড লাইনের নিচে ব্রেক আউট হয়েছে)।




Sunday 14 May 2017

ADX: The Trend Strength Indicator

এডিএক্সঃ ট্রেন্ড স্ট্রেন্থ ইন্ডিকেটর
(Average Directional Index)
Video


ট্রেন্ড ইজ আওয়ার ফ্রেন্ড। কিন্তু আপনার জানা দরকার কোন শেয়ারটা ট্রেন্ডে আছে আর কোন শেয়ারটা ট্রেন্ডে নাই। এডিএক্স এমনি একটা ইন্ডিকেটর যা ট্রেন্ডের শক্তি নির্দেশ করে, আপ ট্রেন্ডই হৌক আর ডাউন ট্রেন্ড হৌক।

১৪ দিনের বা ১৪ ক্যান্ডেলের ক্লোজিং প্রাইসের ডাটার উপর ভিত্তি করেই এডিএক্স ইন্ডিকেএক্স তৈরি। তবে যে কোন টাইম ফ্রেম নেয়া যায়। এডিএক্স এর সংগে আরো দুইটা ডিএমআই লাইন থাকে। +DMI ও -DMI.  এডিএক্স এর ভেলু ০ থেকে ১০০ হতে পারে।

এডিএক্স যে কোন দিকের ট্রেন্ডেরই শক্তি নির্দেশ করে।

প্রাইস যখন উপরে উঠতে থাকে তখন +DMI -DMI এর উপরে থাকে, তখন আপট্রেন্ড নির্দেশ করে। আর যখন প্রাইস যখন নিচে নামতে থেকে তখন -DMI +DMI এর উপরে থাকে, ডাউনট্রেন্ড নির্দেশ করে।
এখন আরো লক্ষণীয় যে আপ বা ডাউন উভয় ট্রেন্ডেই ADX রেখা ট্রন্ডের শক্তি নির্দেশ করে।

ট্রেন্ডের শক্তির পরিমাপ
এডিএক্সের ভেলু আমাদের শক্তিশালী ও লাভজনক ট্রেন্ড নির্দেশনা দেয়। এডিএক্স ভেলু ট্রেন্ডিং ও নন ট্রেন্ডিং অবস্থার পার্থক্য দেখায়। অনেক ট্রেডার মনে করেন যে ২৫ এর উপরে এডিএক্স ভেলু ট্রেন্ড ট্রেডিং জন্য উপযুক্ত। পক্ষান্তরে ২৪ এর নিচে এডএক্স ভেলু তারা এড়িয়ে চলেন।

এডিএক্স ভেলু            ট্রেন্ডের শক্তি
০-২৫                      দুর্বল বা অনুপস্থিত
২৫-৫০                    শক্তিশালী
৫০-৭৫                    খুবই শক্তিশালী
৭৫-১০০                  আরো শক্তিশালী

নিম্ন এডিএক্স একুমুলেশন বা ডিস্ট্রিবিউশন নির্দেশ করে। এডিএক্স  ৩০ পিরিয়ডে  ২৫ এর নিচে থাকলে রেঞ্জের মধ্যে আসে এবং প্রাইস প্যাটার্ন শনাক্ত করা সহজ হয়। এই সময়ে প্রাইস সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্সের মধ্যে আসা যাওয়া করে। নিচের চিত্রে প্রাইস নিম্ন এডিএক্স থেকে উচ্চ এডিক্সে উত্তরন ও নিম্ন এডিএক্সে প্রাইস চ্যানেল গঠন দেখান হলো।


প্রাইস যখন ২৫ এডিএক্সের নিচে থাকে তখন রেঞ্জের ভিতরে থাকে, আর যখন ২৫ এর উপরে উঠে তখন ট্রেন্ডে চলে আসে।

এডিএক্স লাইনের দিক ট্রেন্ডের শক্তি নির্দেশ করে। যখন এডিএক্স লাইন উঠতে থাকে তখন ট্রেন্ডের শক্তিই বাড়তে থাকে। যখন এডিএক্স লাইনে নিচে নামতে থাকে তখন ট্রেন্ডের স্ট্রেন্থ কমতে থাকে ও প্রাইস কন্সলিডেশনে আসে। অনেকের একটা ভুল ধারনা যে এডিএক্স লাইন ফল করার অর্থ ট্রেন্ড রিভার্স করছে। কিন্তু তা নয় ফল শুধু ট্রেন্ডের দুর্বলতাই বুঝায়। 

ট্রেন্ড মোমেন্টাম
কোন এডিএক্স পিক (peak) এর ভেলু ২৫ এর উপরে হলে স্ট্রং বিবেচনা করা হয় যদিও পুর্ববর্তি পিক অপেক্ষা বর্তমান পিক ছোট হয়। (নিচের চিত্র দেখুন)।


 এডিএক্স ডাইভার্জেন্সও প্রদর্শন করে। (নিচের চিত্র)।


এডিএক্স ট্রেডিং স্ট্র্যাটেজি
আমরা যখন প্রাইসের সংগে কোন ইন্ডিকেটর ব্যবহার করি তখন আমরা এমন কিছু বাড়তি সুবিধা পাই যা প্রাইস একা দিতে পারে না।
ব্রেক আউট শনাক্ত করা কঠিন নয়। কিন্তু অনেক সময় আমরা ব্রেক আউট ধরতে যেয়ে ব্রেক আউট ট্রাপে পড়ে যাই। কিন্তু এডিএক্স আমাদের বলে দেয় ব্রেক আউটটা ভ্যালিড কিনা। ব্রেক আউটের সময় যদি এডিএক্স ২৫ এর নিচ থেকে উপরে উঠতে থাকে তার অর্থ এই যে প্রাইস ব্রেক আউটের দিকে চলার জন্য যথেষ্ট শক্তিশালী।
আবার এডিএক্স যখন ২৫ এর নিচে থাকে তখন প্রাইস সাইড ওয়ে চলতে থাকে। তখন ট্রেন্ড ট্রেডিং এড়িয়ে চলাই যুক্তি সংগত।

উপসংহার
এডিএক্সের সাহায্যে আমরা
ট্রেন্ড ও ট্রেন্ডের শক্তি বুঝতে পারি,
সাইডওয়ে মুভমেন্ট বুঝতে পারি;
সাইডওয়ে মুভমেন্ট থেকে সাকসেসফুল ব্রেক আউট ধরতে পারি;
ট্রেন্ড মোমেন্টাম পরিবর্তনের সতর্কবার্তা দেয় ফলে আমাদের রিস্ক ম্যানেজমেনট সহজ হয়।
ট্রেন্ড ইজ ইওর ফ্রেন্ড, এডিএক্স ইজ ইওর বেস্ট ফ্রেন্ড।