Pages

Saturday 15 April 2017

On Balance Volume

অন ব্যালান্স ভলুম

 বাই ও সেল প্রেশার পরিমাপক একটা ইন্ডিকেটর। জো গ্রানভিল এই ইন্ডিকেটরটি প্রবর্তন করেন। অন ব্যালান্স ভলুম একটা কিউমুলেটিভ ইন্ডিকেটর।
প্রাইস যদি কমে বা একই থাকে কিন্তু অন ব্যালান্স ভলুম হাই বা আগের অবস্থান ধরে থাকে তবে বলা যায় প্রাইস বাড়বে।  আবার প্রাইস যদি বাড়ে বা একই থাকে কিন্তু অন ব্যালান্স ভলুম কমে তবে বলা যায় প্রাইস কমবে।
মূল ধারণাটি হল একটি ইন্ডিকেটর তৈরি করা যা ঊর্ধ্বমুখী ক্রয়ের গতি বা নিম্নমুখী বিক্রির গতি দেখায়। যখনই দাম ক্রমাগত ইতিবাচক বন্ধ দেখায়, তখনই OBV বৃদ্ধির কথা বলা হয়। এটি পজিটিভ – গ্রিন ক্লোজ --এ ভলিউম যোগ করার এবং নেগেটিভ ক্লোজে ভলিউম বাদ দেওয়ার কারণে।


তাই OBV অন-ব্যালেন্স ভলিউম আরও স্পষ্ট সংকেত তৈরি করে যা বিনিয়োগকারীদের একটি লাভ জনক ট্রেড শনাক্ত করতে সহায়তা করে।

আমরা কিভাবে ট্রেডে OBV ব্যবহার করব?
Volume precedes price. এই সূত্রটা আগে মনে রাখুন।
কিন্তু কখনো এমন হয় যে দ্রুত মূল্য পড়ে যায় কিন্তু ভলিউম খুব সামান্যই পড়ে। আবার কখনো মূল্য পড়ে গেলেও ভলিউম বাড়ে। এইগুলি অভিজ্ঞ ট্রেডারদের কিছু কেনা বেচার কৌশলের কারনেই হয়। এর মধ্যে আছে ইনসাইড নিউজ, প্যানিক ইত্যাদি। অনেক সময় বড় বিনিয়োগকারিরা জানে যে কোম্পানিটা সামনের দিনগুলিতে ভাল করবে। ফলে তারা শেয়ারটা ধরে রাখে। ছোট বিনিয়োগকারিরা পুঁজি বাঁচাতে দ্রুত শেয়ারটা ছেড়ে দেন। আর বড় বিনিয়োগকারিরা ঐ শেয়ারগুলি কিনে নেন। এই জন্য ভলিউমের সংগে সামঞ্জস্য না রেখেই শেয়ারের দাম কমে। কিন্তু প্রাইস একটু স্থিতিশীল হলেই এর উল্টো আচরন শুরু হয়। অর্থাৎ প্রাইস দ্রুত ভলিউমের সংগে সামঞ্জস্যপুর্ন অবস্থানে ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করে। এই সময়ে ট্রেডাররাও বুল মুভমেন্টে শরিক হয়। ফলে মূল্য আরো উপরে উঠে যায়।
আমরা এই অবস্থাটা কিভাবে চার্টে ব্যাখ্যা করব?
OBV আর প্রাইস চার্ট দেখে কি সাদা চোখে ভলিউমের এই পরিবর্তনটা ধরতে পারি?
নিচের চিত্রে ভলিউম ও প্রাইসের পার্থক্য তেমন দৃষ্টিগোচর হয় না।


কিন্তু আমরা যদি একটা দীর্ঘ মেয়াদী মুভিং এভারেজ - প্রাইস ও ভলিউমের সঙ্গে যুক্ত করি তবে একটা পার্থক্য লক্ষ্য করব। আমরা এখানে ১২০ দিনের এমা নিতে পারি। এবার প্রাইস ও ভলিউমের পার্থক্য স্পষ্ঠ।

কখন বাই দিব?
যখন ট্রেন্ড লাইন ব্রেক আউট হবে।











No comments:

Post a Comment